প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)
এই জটিল বিষয়টি নিয়ে আপনাদের মনে কিছু প্রশ্ন থাকা স্বাভাবিক। আমার অভিজ্ঞতার আলোকে সিজোফ্রেনিয়ার ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথির সহায়ক ভূমিকা নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি এখানে। মনে রাখবেন, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সঠিক তথ্য প্রদানই আমার লক্ষ্য।
প্রশ্ন ১: হোমিওপ্যাথি কি সিজোফ্রেনিয়া সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করতে পারে?
উত্তর: আমার অভিজ্ঞতা এবং হোমিওপ্যাথির নীতি অনুযায়ী, সিজোফ্রেনিয়া একটি অত্যন্ত জটিল দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যার সম্পূর্ণ নিরাময় প্রচলিত চিকিৎসাতেও প্রায়শই কঠিন। হোমিওপ্যাথি এই রোগের মূল সাইকোটিক লক্ষণগুলি (যেমন হ্যালুসিনেশন বা ডিল্যুশন) সরাসরি নিরাময় করার দাবি করে না এবং করা উচিতও নয়। এটি প্রচলিত চিকিৎসার বিকল্প নয়। হোমিওপ্যাথি এখানে শুধুমাত্র একটি সহায়ক বা পরিপূরক ভূমিকা পালন করতে পারে, যেমন রোগীর সামগ্রিক সুস্থতা বাড়ানো বা প্রচলিত চিকিৎসার পাশাপাশি কিছু সহযোগী লক্ষণ (উদ্বেগ, অনিদ্রা ইত্যাদি) নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করা। দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসা হিসেবে হোমিওপ্যাথির সীমাবদ্ধতা জানাটা অত্যন্ত জরুরি।
প্রশ্ন ২: সিজোফ্রেনিয়ার জন্য হোমিও ঔষধ কি প্রচলিত ওষুধের সাথে নিরাপদে ব্যবহার করা যায়?
উত্তর: সাধারণত হ্যাঁ, কারণ হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলি অত্যন্ত লঘু (diluted) মাত্রায় তৈরি হয় এবং প্রচলিত ওষুধের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। তবে, এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং কখনোই আপনার প্রচলিত মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের (সাইকিয়াট্রিস্ট) পরামর্শ ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। আপনি যদি প্রচলিত ওষুধ গ্রহণ করেন এবং হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করতে চান, তবে অবশ্যই আপনার সাইকিয়াট্রিস্ট এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক উভয়কেই বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। তাদের সমন্বিত পরামর্শেই আপনি নিরাপদে এগোতে পারেন।
প্রশ্ন ৩: সিজোফ্রেনিয়ার জন্য সেরা হোমিও ঔষধ কোনটি?
উত্তর: হোমিওপ্যাথির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো স্বতন্ত্রকরণ (Individualization)। এর মানে হলো, সিজোফ্রেনিয়ার জন্য কোনো একটি নির্দিষ্ট “সেরা” হোমিও ঔষধ নেই যা সবার জন্য কাজ করবে। মানসিক রোগের হোমিও চিকিৎসা সবসময় রোগীর সামগ্রিক লক্ষণ, শারীরিক ও মানসিক অবস্থা, পূর্ব ইতিহাস এবং অন্যান্য ছোট ছোট বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে নির্বাচিত হয়। একজন যোগ্যতাসম্পন্ন এবং অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক রোগীর বিস্তারিত কেস-টেকিংয়ের মাধ্যমে সবচেয়ে উপযুক্ত ঔষধটি নির্বাচন করতে পারেন। তাই, সঠিক ঔষধ জানতে হলে অবশ্যই একজন পেশাদার হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
প্রশ্ন ৪: সিজোফ্রেনিয়ার হোমিও ঔষধ কাজ করতে কত সময় লাগতে পারে?
উত্তর: দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসা, তা প্রচলিত হোক বা পরিপূরক, সবসময় সময়সাপেক্ষ হয়। সিজোফ্রেনিয়ার মতো জটিল ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার ফলাফল দেখা দিতে রোগীর অবস্থা, লক্ষণের তীব্রতা, নির্বাচিত ঔষধ এবং রোগীর শরীরের প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করে। এটি কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় নিতে পারে। তবে, এই পুরো সময়কালে প্রচলিত চিকিৎসা অবশ্যই চালিয়ে যেতে হবে। হোমিওপ্যাথির লক্ষ্য হলো ধীরে ধীরে রোগীর সামগ্রিক সুস্থতা ফিরিয়ে আনা।
প্রশ্ন ৫: সিজোফ্রেনিয়ার মতো গুরুতর মানসিক রোগের ক্ষেত্রে কেন হোমিওপ্যাথি ব্যবহার বিবেচনা করা যেতে পারে (সহায়ক হিসাবে)?
উত্তর: যদিও হোমিওপ্যাথি মূল রোগের চিকিৎসা নয়, কিছু রোগী এবং তাদের যত্নদাতা প্রচলিত চিকিৎসার পাশাপাশি একটি পরিপূরক পদ্ধতি হিসেবে হোমিওপ্যাথি বিবেচনা করতে পারেন। এর কারণ হতে পারে উদ্বেগ, অনিদ্রা, মানসিক চাপ বা সামাজিক বিচ্ছিন্নতার মতো সহযোগী লক্ষণগুলি মোকাবিলায় হোমিওপ্যাথির সম্ভাব্য সহায়ক ভূমিকা। হোমিওপ্যাথির নীতি অনুযায়ী এটি রোগীর সামগ্রিক সুস্থতার উপর জোর দেয়, যা প্রচলিত চিকিৎসার পরিপূরক হতে পারে। তবে আবারও জোর দিচ্ছি, এটি শুধুমাত্র প্রচলিত চিকিৎসার পাশাপাশি এবং শুধুমাত্র একজন যোগ্যতাসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই হওয়া উচিত। স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে এই বিষয়টি মনে রাখা খুব জরুরি।
আশা করি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনাদের কিছু ধারণা দিতে পেরেছে। মনে রাখবেন, যেকোনো চিকিৎসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের জন্য পেশাদার পরামর্শ অপরিহার্য।
।
উপসংহার
সিজোফ্রেনিয়ার মতো একটি জটিল মানসিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমাদের আলোচনা প্রায় শেষের দিকে। এই দীর্ঘ যাত্রায় আমরা সিজোফ্রেনিয়া কী, এর লক্ষণ ও প্রচলিত চিকিৎসার গুরুত্ব এবং প্রচলিত চিকিৎসার পাশাপাশি সহায়ক হিসেবে হোমিওপ্যাথির সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে কথা বলেছি। আমি আবারও জোর দিয়ে বলতে চাই, সিজোফ্রেনিয়ার মূল চিকিৎসা হলো প্রচলিত পদ্ধতি – অর্থাৎ সাইকিয়াট্রিস্টের তত্ত্বাবধানে ওষুধ এবং থেরাপি। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যার জন্য নিরবচ্ছিন্ন পেশাদার যত্ন প্রয়োজন।
হোমিওপ্যাথি এখানে একটি সহায়ক বা পরিপূরক ভূমিকা পালন করতে পারে, বিশেষ করে প্রচলিত চিকিৎসার পাশাপাশি উদ্বেগ, অনিদ্রা বা মানসিক চাপের মতো সহযোগী লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণে। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, সঠিক সময়ে একজন যোগ্যতাসম্পন্ন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে এবং প্রচলিত চিকিৎসার সাথে সমন্বয় রাখলে কিছু রোগীর সামগ্রিক সুস্থতায় কিছুটা সাহায্য পাওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখবেন, হোমিওপ্যাথির নীতিই হলো স্বতন্ত্রকরণ। অর্থাৎ, সিজোফ্রেনিয়ার হোমিও ঔষধ নির্বাচন নির্ভর করে রোগীর সম্পূর্ণ অবস্থার উপর, কোনো একটি নির্দিষ্ট ঔষধ সবার জন্য নয় এবং এটি কখনোই মূল সাইকোটিক লক্ষণ নিরাময় করে না। এই পুরো প্রক্রিয়াতেই সঠিক স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং পেশাদার পরামর্শ অপরিহার্য।
আমার এই পুরো আলোচনাটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে। এটি কোনোভাবেই সিজোফ্রেনিয়ার প্রচলিত চিকিৎসার বিকল্প হিসেবে হোমিওপ্যাথির ব্যবহারের সুপারিশ করে না। সিজোফ্রেনিয়ার মতো গুরুতর রোগের ক্ষেত্রে স্ব-চিকিৎসা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে এবং প্রচলিত চিকিৎসা বন্ধ করা মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত অবশ্যই একজন যোগ্যতাসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ (সাইকিয়াট্রিস্ট) এবং আপনার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের সমন্বিত পরামর্শে নিতে হবে।
তাই, সিজোফ্রেনিয়ার ব্যবস্থাপনায় আপনার প্রথম এবং প্রধান পদক্ষেপ হওয়া উচিত প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে চলা। যদি আপনি পরিপূরক হিসেবে হোমিওপ্যাথি ব্যবহারের কথা ভাবেন, তবে অবশ্যই আপনার সাইকিয়াট্রিস্টকে জানান এবং একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি কনসালটেশন গ্রহণ করুন। আপনার স্বাস্থ্যযাত্রা নিরাপদ হোক এবং সঠিক তথ্যের মাধ্যমে আপনি আরও স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠুন – এটাই আমার কামনা। মনে রাখবেন, আপনার সুস্থতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
,রোগী আমার স্ত্রী, সে দীর্ঘদিন ধরে সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত,
তার রোগের লক্ষ্মণ হল, সে সব সময় কিছু লোককে সন্দেহ করে, সে মনে করে কিছু লোক সব সময় তার খতি করে এবং খতি করতে চেষ্টা করে। তাকে বিভিন্ন সময় তান্ত্রিকতার মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে। সে জন্য মাঝে মধ্যে বলে তার পিঠে অসহ্য জ্বালাপোড়া করে, আবার বলে তার পেট বুক খুব জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে। সে অলিক কিছু কল্পনা করে,সে ডাক্তার দেখাতে চায় না সে বলে আমার কোন রোগ নেই।আমার সমস্যা তোমরা বুজবা না। আমি নিজে নিজে ভালো হয়ে যাবো। কোন মানুষের সাথে মিশতে চায় না। সব সময় বিষন্নতায় ভুগে। সে মনে করে তার কার্যকলাপ বিশেষ ডিবাইসের মাধ্যমে তার শত্রুরা দেখতে পায় এবং জানতে পারে।আবার সে অনুভব করে তার শত্রুরা তাকে পাখির পর দিয়া তার লিভারে, তলপেটে লজ্জাস্থানে খোচা মেরে তাকে আগাত করে তাতে সে খুবই ব্যাথা পায় এবং মাঝে মধ্যে বলে তার সমস্ত শরীর জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে কান্নাকাটি করে আবার বলে তার শত্রুরা তার ইমোশনাল নিয়ে ট্রাক ট্রাক খেলে। সে মনে করে শত্রুরা তাকে মেরে ফেলতে চায়, তার এবং তার আত্মীয়স্বজনের শত্রুরা টাকা পয়সা স্তাবর অস্থাবর সম্পত্তি নিয়ে নিতে চায়। সে সব কিছুর ব্যাপারে নেগেটিভ চিন্তা করে।ভাল মন্দ সব কাজেই বাধা দেয়, মাঝে মধ্যে কানে অলিক কিছু শুনতে পায়, আবার চোখে অলিক কিছু দেখতে পায় রাত হলেই রোগের লক্ষ্মণ বাড়ে মাঝে মাঝে পা দিয়ে শোয়া অবস্থায় বিছানার উপর লাথি মারে আর বকাবকি করে আর বলে শুয়ো বাচ্চারা আমাকে অত্যাচার করে। ( বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ রুগীর জ্বড়ায়ুতে টিউমার হওয়ার কারণে ২০১৩ সনে অপারেশন করে বাচ্চা হবার থলি কেটে ফেলা দেওয়া হয়েছে এবং রুগীর হাইপ্রসারের সমস্যা আছে। নিয়মিত প্রসারের ঔষধ খেতে হয়। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা৷ আছে।। রোগী তার প্রসাবের বেগ হলে প্রসাব ধরে রাখতে পারে না। অট্টহাসি দিলে অথবা জোড়ে কাশি দিলে প্রসাব বেড়িয়ে আসে তাতে মাঝে মাঝে কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।)
গত বছর২০২৪ এর মার্চ মাসে অনলাইনে ডাঃ মহসিন আলী শাহ স্যারকে দেখায়াছিলাম উনি আমার স্ত্রীকে এরিপ্রা ১৫ এবং সিজোপেন ১০ দিয়েছিল,আমার স্ত্রী এরিপ্রা১৫ সিজোপেন একসাথে তার শরীরেে নিতে পারতো না বলে৷ তাকে শুধু এরিপ্রা খাওয়াতাম, একসময় দেখতে পেলাম ডান পা অনবরত কাপাতো তাই ধীরে ধীরে ঔষধের ডোজ কমিিয়ে খাওয়াতে থাকললাম তার৷ পর রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে গিয়ছিলো৷ সে জন্য ঔষধ একবারে বন্ধ করে দেওয়ার ফলে কয়েক মাস পরে লক্ষ্য করলাম রোগী ধীরে ধীরে শ্লো হয়ে যাচ্ছে অন্যমনস্ক ভাব পুনরায় এরিপ্রা ৫ এরপর ১০ এবং শেযে এরিপ্রা ১৫ খেয়েও রোগী সুস্থ্য হচ্ছ না। বরং ধীরে ধীরে রোগ বেড়েই চলছে। সাথে ডান পা সারাক্ষণ কাপাইতেছে, আরো আনুষাঙ্গিক কিছু লক্ষ্মণ দেখা যাইতেছে। রোগী মাঝে মাঝে বলে তার মাথা প্রচন্ড ব্যাথা করে। আবার মাঝে মাঝে বলে তার পেট জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে বলে তার পিঠ জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে রাতে ঘুম কম হয়। ঘুম কম হলে বেশী অসুস্থ হয়ে যায়,স্মরণশক্তি কমে গেছে,৷ সে সব সময় বিষন্নতায় ভুগে। অজানা ভয়ে ঘর থেকে বেড় হতে চায় না।কারো সাথে মিশতে চায় না, রোগীর যৌবিক চাহিদা শূূন্যের কোঠায়, রোগী সব সময় অসুস্থ্য থাকে, এখন করনীয় কি?
https://www.genetichomeo.com/book-appointment/ আপনি চাইলে আমার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেন, এর জন্য লং টাইম চিকিৎসা দরকার পড়বে